গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ জেলায় ১২৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ-কাশিয়ানী ৪৪ কিলোমিটার নবনির্মিত রেললাইন এখন শুধুই উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ইতিমধ্যেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি তাদের নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। শেষ হয়েছে সরকারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজও। কোথাও কোনো প্রকার ত্রুটি আছে কি-না সে সব কাজ শেষ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি।
পরীক্ষামূলকভাবে ৯টি বগি নিয়ে চালালো হয় একটি ট্রেন। গোপালগঞ্জবাসী এখন শুধুই উদ্বোধনের অপেক্ষায় দিন গুনচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই রেললাইনের শুভ উদ্বোধন করবেন বলে রেল কর্তৃপক্ষ ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠান দুটি জানিয়েছে।
তবে কবে নাগাদ রেল চলাচল করবে তার দিনক্ষণ এখনও নিধার্রিত হয়নি।
নিম্নাঞ্চলখ্যাত গোপালগঞ্জ জেলা সদরে রেললাইন নির্মাণ হওয়ায় গোপালগঞ্জবাসী খুবই আনন্দিত। তারা এখন স্বল্পখরচে এবং নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন, যেতে পারবেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। সেই সাথে সুযোগ বাড়বে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও। গোপালগঞ্জ জেলার উৎপাদিত পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করতে পারবে এলাকাবাসী অতিসহজেই।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম দিকে এই রেললাইনের কাজহ শুরু হয়। দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও তমা গ্রুপ বিগত ২০১৫ সালের নভেম্বরে কাজ শুরু করে। ইতিমধ্যে তাদের নির্মাণ কাজ শেষ করেছে।
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর বয়রা পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার রেললাইন সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
তমা গ্রুপের প্রজেক্ট ম্যানেজার এস এম নজরুল ইসলাম ও ম্যাক্স গ্রুপের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রকৌশলী আব্দুল ওহাব জানান, প্রকল্পের রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেই সাথে শেষ হয়েছে ডেকরেশনের কাজ। গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সদরের চর বয়রা পর্যন্ত মোট ৪৪ কিলোমিটার রেললাইন, মধূমতি নদীর ওপর একটি রেলসেতু, ৪৩টি কার্লভার্ট, ৬টি রেল স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। সেই সাথে রেল স্টেশনে যাতায়াতের জন্য বেশ কয়েকটি সংযোগ সড়কও নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে।
নবনির্মিত রেললাইন নির্মাণের ফলে দেশের উত্তরবঙ্গের সাথে যোগাযোগের একটি মাইলফলক হিসাবে কাজ করবে। জেলাবাসী কমখরচে অতিসহজে এবং নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে। সেই সাথে কমখরচে অতিসহজেই ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য পরিবহন (আনা নেওয়া) করতে পারবে এবং মানুষের জীবনযাত্রার উন্নয়ন ঘটবে।